Google Plus WEST BENGAL SCHOOL SERVICE COMMISSION: RTI in Bengali Version Right to Information

RTI in Bengali Version Right to Information

Source: http://www.indg.in/right-to-information/9869b099f9bf986987-9869879a89c79b0-9859a79c09a89c7-9a49a59cd9af-9b29be9ad9c79b0-9aa9a69cd9a79a49bf/view?set_language=bn

আরটিআই আইনের অধীনে তথ্য লাভের পদ্ধতি

তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করার পদ্ধতিটি কী?
  • ইংরেজি, হিন্দি বা ঐ অঞ্চলের প্রশাসনিক ভাষায় লিখিত ভাবে বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জন তথ্য আধিকারিকের কাছে আবেদন করুন
  • তথ্য জানতে চাওয়ার কারণ দেবার প্রয়োজন নেই;
  • নির্ধারিত ফী মেটান (দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত না হলে)
2. তথ্য হাতে পাবার সময়সীমা কী?
  • আবেদনের তারিখ থেকে 30 দিন
  • কারো জীবন বা স্বাধীনতা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য 48 ঘণ্টা
  • তথ্য জানতে চাওয়ার আবেদনটি সহকারী জন তথ্য আধিকারিকের কাছে দিলে, উপরোক্ত সময়ের সঙ্গে আরো 5 দিন যোগ করা হবে  
  • যদি কোনো তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ জড়িত থাকে তাহলে সময় সীমা হবে 40 দিন (সর্বোচ্চ সময়সীমা+ প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পক্ষকে দেওয়া সময়)
  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে তা প্রত্যাখ্যান বলে গণ্য হবে
ফী বা অর্থমূল্যের পরিমাণ কত?
তথ্য প্রাপ্তির জন্য ফী বা অর্থমূল্যের পরিমাণ:
1) আবেদনের জন্য নির্ধারিত অর্থমূল্য অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হতে হবে
2) আরো অতিরিক্ত কিছু দরকার হলে, তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে যাতে কীভাবে ওই অঙ্ক ধার্য করা হয়েছে তার বিস্তারিত হিসাবও দেওয়া থাকবে;
3) আবেদনকারী পিআইও কর্তৃক গৃহীত অর্থমূল্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়নের জন্য যথাযথ উত্তরবিচার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন;
4) দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো অর্থমূল্য দাবি করা হবে না,
5) পিআইও নির্ধারিত সময়সীমা পালন করতে ব্যর্থ হলে আবেদনকারীকে বিনামূল্যে তথ্য জানাতে হবে
         
প্রত্যাখ্যানের কারণ কী হতে পারে?
  • যদি তা প্রকাশ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত হয় (S.8)
  • যদি তা রাজ্য ছাড়া অপর কোনো ব্যক্তির লেখস্বত্ত্ব লঙ্ঘন করে(S.9)

প্রশ্নের ইঙ্গিত (যদি চান তবে অনুগ্রহ করে যথোপযুক্ত পরিবর্তন করুন): I. অনুগ্রহ করে এখন পর্যন্ত আমার আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগ সংক্রান্ত দৈনিক অগ্রগতি জানান৷ যথা, আমার আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগ কখন কোন আধিকারিকের কাছে পৌঁছেছে, কতক্ষণ সেটি ঐ আধিকারিকের কাছে ছিল এবং সেই সময়কালে ঐ আধিকারিক কি করেছেন?
II. যে সব আধিকারিকদের আমার আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগের উপরে কাজ করার কথা ছিল এবং যাঁরা তা করেন নি অনুগ্রহ করে তাঁদের নামগুলি জানান।
III. এই সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিজেদের কাজ না করার ও জনসাধারণকে হয়রান করার দরুণ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? ওই ব্যবস্থা কবে পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে?
IV. আমার কাজটি এখন কতদিনের মধ্যে হবে?
V. অনুগ্রহ করে আমার আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগ গ্রহণের পরে গৃহীত যাবতীয় আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগের তালিকা প্রদান করুন৷ তালিকাটিতে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি থাকতে হবে:
  •   আবেদনকারী/করদাতা/যাচনাকারী/দুঃখিত ব্যক্তির নাম/রসিদ নং
  •   আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগের তারিখ
  •   মীমাংসার তারিখ

VI. নথির যে অংশে উপরোক্ত আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগ গ্রহণের বিস্তারিত বিবরণ আছে, অনুগ্রহ করে সেই অংশের নকল বা প্রিণ্ট আউট প্রদান করুন৷
VII. আমার পরে  গৃহীত কোনো আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগের যদি পালার বাইরে মীমাংসা হয়ে থাকে তবে অনুগ্রহ করে তার কারণ জানান৷
VIII. কোনো আবেদন/প্রতিপ্রেরণ/যাচনপত্র/অভিযোগের পালার বাইরে মীমাংসা হওয়ার, যদি হয়ে থাকে,  বিষয়টির বিরুদ্ধে  ভিজিল্যান্স অনুসন্ধান কবে চালু হবে? অভিযোগ দায়ের করার পদ্ধতি সংক্রান্ত এফএকিউ প্রশ্ন: কোথায় ও কীভাবে আমি অভিযোগ দায়ের করব?
উত্তর:
  • কেন্দ্রীয় সরকারি জন আধিকারিক সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য সেণ্ট্রাল ইনফর্মেশন কমিশন [সিআইসি], অগাস্ট ক্রান্তি ভবন, ভিকাজি কামা প্লেস, নিউ দিল্লি 110066 [www.cic.gov.in], -তে  যোগাযোগ করা যেতে পারে৷
  • রাজ্য সরকারের জন আধিকারিক সংম্পর্কে অভিযোগের জন্য রাজ্য তথ্য আয়োগ(স্টেট ইনফর্মেশন কমিশন বা এসআইসি)-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷
  • রাজ্য সরকারের জন আধিকারিকগণে সম্বন্ধে তথ্যের ক্ষেত্রে, নিজ নিজ রাজ্য তথ্য-আয়োগের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
  • একই সঙ্গে রাজধানী-স্তরে সংস্থা বা সরকারি বিভাগীয় প্রধানের(সচিব/মুখ্য সচিব) সঙ্গে তাঁর হস্তক্ষেপের জন্য যোগাযোগ করা যুক্তিযুক্ত৷ এর ফলে তথ্য পেতে সুবিধা হতে পারে৷
  • অভিযোগ দায়ের করার পরে, সেটি নিবন্ধীকৃত হয়েছে কি না এবং নিবন্ধীকরণ সংখ্যা ও স্থিতি অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ওযেবসাইট থেকে দেখে নেবেন
  • অভিযোগের একটি নকল জন তথ্য আধিকারিক/প্রথম উত্তর বিচারাধিকারীর সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য-আয়োগ/রাজ্য তথ্য-আয়োগে পাঠান
  • অভিযোগ হল আবেদনকারীদের প্রাপ্য দ্বিতীয/চূড়ান্ত আপীলের সঙ্গে অতিরিক্ত সুবিধা
প্রশ্ন:অভিযোগ দায়ের করার কী কোনো নির্দিষ্ট রূপরেখা আছে? এবং অভিযোগে কী কী জানতে চাওয়া যাবে?
  • সিআইসি এবং কিছু কিছু এসআইসির ক্ষেত্রে অভিযোগের সঙ্গে নির্দিষ্ট ন্যূনতম লিখিত তথ্য জমা করতে হয়৷
  • কিছু রাজ্য তথ্য আয়োগের অভিযোগের জন্য পূর্বনির্ধারিত রূপরেখা আছে।
  • আইনটির অধীনে আপনি জন তথ্য আধিকারিক/প্রথম উত্তর বিচারাধিকারীর শাস্তিও চাইতে পারেন এবং ঠিক সময়ে তথ্য হাতে না পাওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করতে পারেন৷
  • জীবন ও স্বাধীনতা সংক্রান্ত তথ্যের ক্ষেত্রে, অভিযোগটিতে চোখে পড়ার মত করে “জীবন ও স্বাধীনতা -জরুরি” লেখা থাকতে হবে যাতে বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই সেটির সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়৷ রাজ্য তথ্য-আয়োগে ই-মেলের সাহায্যে পরবর্তী যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলে তা করাই সমীচীন
প্রশ্ন অভিযোগ দায়ের করার জন্য আমাকে কী কোনো ফী/অর্থমূল্য দিতে হবে?
  • কেন্দ্রীয় তথ্য আয়োগ অভিযোগের জন্য কোনো ফী দাবি করে না৷ কিছু কিছু রাজ্য তথ্য-আয়োগ এর জন্য ফী গ্রহণ করে
  • অভিযোগ দায়ের করার কোনো সময় সীমা নেই, তবে অভিযোগের কারণ ঘটার যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যেই তা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়
প্রশ্ন: আমার দায়ের করা অভিযোগের উত্তর আমি কী ভাবে পাব?
  • কখনো কখনো জন তথ্য আধিকারিক/প্রথম উত্তর বিচারাধিকারী কেন্দ্রীয় তথ্য-আয়োগ/রাজ্য তথ্য-আয়োগে শুনানির আগেই আপনার সমস্যার সমাধান করে দেন
  • শমন পাঠানো, উপস্থিতি নিশ্চিত করা, হলফ করে সাক্ষ্য দেওয়া, নথিপত্র বার করে আনা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য- আযোগগুলিকে দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতা দেওয়া আছে৷
জন তথ্য আধিকারিক/প্রথম উত্তর বিচারাধিকারীর কাছে প্রচুর পরিমাণে আপিল/অভিযোগ আসে এবং মীমাংসার জন্য বিশাল প্রতীক্ষা থাকে৷ কাজেই অভিযোগ শুনতে12 থেকে 36 মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। B) আরটিআইআবেদনপত্র লেখার পদ্ধতি সংক্রান্ত এফএকিউ
প্রশ্ন: একটি আবেদনপত্র লেখার নিয়মর্গুলি কী? – বা –একটি আবেদনপত্র কী ভাবে লিখতে হবে ?
উত্তর: আরটিআই আবেদনপত্র পূরণ করাকালীন, প্রশ্নগুলি কী ভাবে পেশ করা হয় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷  সামান্য বোঝার ভুল বা অস্পষ্ট প্রশ্ন পিআইও কে আপনার প্রশ্নটি বাতিল করার সুয়োগ দেয়৷ এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করুন:
  • আবেদনপত্র লেখার জন্য সাদা কাগজ ব্যবহার করুন৷ নোট শীট বা কোর্টের স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করার কোনো দরকার নেই৷
  • বিষয় হাতে বা টাইপ করে লেখা যেতে পারে৷ বিষয়টি টাইপ করতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷
  • আবেদনপত্রটি যেন স্পষ্ট অক্ষরে লেখা হয় ও সহজপাঠ্য হয়৷
  • তথ্য জানতে চাওয়ার সময় পৃষ্ঠাসংখ্যার উপরে কোনো বাধানিষেধ থাকে না৷
  • একটি আবেদনপত্রে কতগুলি প্রশ্ন করা যেতে পারে তার উপরে কোনো বাধানিষেধ নেই৷ তবে, একটি আবেদনপত্রে সীমিত সংখ্যার প্রশ্ন করা ও কেবলমাত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন করাই সমীচীন৷
  • একজন যতগুলি ইচ্ছা ছোটো প্রশ্ন করতে পারেন৷ কিন্তু একবারে অনেকখানি তথ্য চাইবেন না৷
  • আবেদনপত্রে সব সময় আপনার নাম লিখবেন ও স্বাক্ষর করবেন, আপনার ‘ পদ/পদমর্যাদা ’ লেখার কোনো দরকার নেই যেহেতু  যে কোনো নাগরিকেরই তথ্য জানার অধিকার আছে
  • কখনোই এমন কোনো সরাসরি প্রশ্ন করবেন না যা  ‘কেন’ দিয়ে আরম্ভ হয়, যেহেতু তা আরটীআই এর অধীনে না হওয়ার দরুণ বাতিল হয়ে যেতে পারে৷ উদাহরণ স্বরূপ, এই ধরণের প্রশ্ন যেমন, ‘কেন আপনি বিলটি মঞ্জুর করতে ব্যর্থ হলেন?’, বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
  • "প্রশাসনিক" বা "আপাত-বিচারবিভাগীয়" সিদ্ধান্তের কারন জানতে ধারা 4(1)(d)-র অধীনে প্রশ্ন করুন, বিশেষ করে যদি আপনি "প্রভাবিত ব্যক্তি" হয়ে থাকেন।
  • জানতে চাওয়া তথ্য যদি বৃহদায়তন হয়, তবে খরচ বাঁচাতে তা সিডির আকারে চাওয়াই ভালো।
  • মনে রাখবেন, আপনার তথ্য জানতে চাওয়ার কারণ লেখার কোনো প্রয়োজন নেই 
  • আপনার আবেদনপত্রের শেষের দিকে পেমেণ্টের বিস্তারিক বিবরণ যেমন বিসি/ডিডি/আইপিও নম্বর, প্রেরক ব্যাঙ্ক/ডাকঘর, তারিখ, ক্যাশ রসিদের বিস্তারিত বিবরণ ইত্যাদি অবশ্যই লিখবেন
প্রশ্ন: আবেদনপত্রটি কাকে উদ্দেশ্য করে লিখতে হবে?
উত্তর:
  • যে জন তথ্য আধিকারিকের কাছে আপনি আবেদন করতে চান তার বিশদ বিবরণ, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি লিখুন৷
  • যদি আপনার জন তথ্য আধিকারিক/সহকারী জন তথ্য আধিকারিককে খুঁজে বার করতে অসুবিধা হয়, আপনি আপনার আরটিআই আবেদনপত্রটিতে জন তথ্য আধিকারিক, প্রযত্নে বিভাগীয় প্রধান, এই ঠিকানা দিতে পারেন ও সেটি প্রয়োজনীয় আবেদনপত্র ফী সমেত সংশ্লিষ্ট জন অধিকারীর কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন৷
  • বিভাগীয় প্রধানকে আপনার আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট জন তথ্য আধিকারিকের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে৷
  • আবেদনপত্রটিতে নির্দিষ্ট জন তথ্য আধিকারিকের নাম উল্লেখ করবেন না, কারণ তাঁর বদলি হয়ে যাবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা থাকতে পারে বা তাঁর জায়গায় অন্য কোনো ব্যক্তি নিযুক্ত হতে পারেন৷
প্রশ্ন: বিভিন্ন রাজ্যের আবেদন পদ্ধতির জন্য কী আলাদা আলাদা নিয়ম ও মূল্য রয়েছে?
উত্তর:
  • কেন্দ্র, রাজ্য, বিধানমণ্ডল ও সর্বোচ্চ/উচ্চ আদালতের অধীনস্থ জন অধিকারীরা আরটিআই এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম নির্মাণ করেছেন৷
  • ফী-র অঙ্ক ও অর্থপ্রদানের পদ্ধতি বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা হয় এবং আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সঠিক নিয়মটি দেখে নেওয়া উচিত৷
  • আবেদনপত্রের ফী এই ভাবে জমা দেওয়া যায়:
  • হাতে হাতে নগদ অর্থ দিয়ে [আপনার রসিদটি নেবার কথা মনে রাখবেন]
  • ডাকে নিম্নলিখিত মাধ্যমে:
  • ডিম্যাণ্ড ড্র্যাফট/ব্যাঙ্কার্স চেক
  • ভারতীয় পোস্টাল অর্ডার
  • মানি অর্ডার (কেবলমাত্র কিছু কিছু রাজ্যে)
  • কোর্ট ফী স্ট্যাম্প লাগিয়ে (কেবলমাত্র কিছু কিছু রাজ্যে)
  • কিছু কিছু রাজ্য সরকার কিছু হেড অফ অ্যাকাউণ্ট নির্ধারিত করেছে৷ আপনাকে সেই অ্যাকাউণ্টেই ফী জমা করতে হবে৷এর জন্য –
  •  আপনি এসবিআইয়ের যে কোনো শাঘায় যেতে পারেন এবং ঐ অ্যাকাউণ্টে টাকা জমা দিতে পারেন ও জমা দেওয়ার রসিদটি আপনার আরটিআই  আবেদনপত্রে সংলগ্ন করে দিতে পারেন৷ –অথবা-
  •  আপনি আপনার আরটিআই  আবেদনপত্রের সঙ্গে ঐ অ্যাকাউণ্টের নামে কাটা একটি পোস্টাল অর্ডার বা ডিডি-ও পাঠিয়ে দিতে পারেন৷
  •  কেন্দ্রীয় আরটিআই  আইনের অধীন জন অধিকারীদের জন্য, ডাক ও তার বিভাগ সদ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে বিসি/ডিডি/আইপিও "অ্যাকাউণ্টস অফিসারের" নামে কাটা হতে পারে৷
প্রশ্ন:আরটিআইএর অধীনে প্রথম আপিলের আবেদন কীভাবে লিখতে হয়?
উত্তর:
তথ্য জানার অধিকার 2005এর অধীনে প্রথম আপিল করার সময় অনুগ্রহ করে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করুন:
  • মুখ্য জন তথ্য আধিকারিকের রায় হাতে পাওয়ার 30 দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে প্রথম উত্তরবিচার অধিকারী (ফার্স্ট এ্যাপিলেট অথরিটি বা এফএএ)র কাছে প্রথম আপিল দাখিল করতে হবে
  • মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক(সহকারী মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক) কর্তৃক প্রাপ্তির 30 দিনের(35 দিন যদি আবেদন সহকারী মুখ্য জন তথ্য আধিকারিককে জমা দেওয়া হয়ে থাকে) মধ্যে কোনো উত্তর না পাওয়া গেলে যেদিন মুখ্য জন তথ্য আধিকারিকের কাছ থেকে উত্তর প্রাপ্তির তারিখ ছিল সেদিন থেকে 30 দিনের মধ্যে প্রথম আপিল দাখিল করতে হবে
  • মুখ্য জন তথ্য আধিকারিকের রায়ের চিঠি থেকে প্রথম উত্তরবিচার অধিকারীর নাম, পদ ও ঠিকানা বার করুন৷
  • কোনো উত্তর না পাওয়া গেলে,  সরকারি বিভাগ /করণ/ উদ্যোগের ওয়েবসাইটে যান এবং এই সব বিস্তারিত জানতে আরটিআই  আইকনটিতে দেখুন
  • উপরোক্ত ভাবে চেষ্টা করা সত্ত্বেও, যদি আপনি প্রথম উত্তরবিচার অধিকারীর খোঁজখবর পেতে সমর্থ না হন, তবে আপনার প্রথম আপিলটির ঠিকানা এইভাবে লিখুন:
তথ্য জানার অধিকার 2005এর অধীনে প্রথম উত্তরবিচার অধিকারী

প্রযত্নে প্রধান _______________বিভাগ/করণ

(মুখ্য জন তথ্য আধিকারিকের বিভাগ/করণের ঠিকানাও উল্লেখ করবেন)
  • যদি আপনি প্রথম আপিলের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে চান তবে তা আপনার আপিলের শেষে উল্লেখ করবেন
  • কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে জন অধিকারীদের জন্য প্রথম আপিলের কোনো ফী ধার্য করা হয় নি
  • কিছু  কিছু রাজ্যের প্রথম আপিলের জন্য ধার্য ফী ও পূর্বনির্ধারিত রূপরেখা আছে
  • আপিলে উল্লেখ করা হয়েছে এমন যাবতীয় সংলগ্ন কাগজপত্রের ফটোকপি আবেদনকারী দ্বারা স্ব-প্রত্যায়িত হতে হবে ‘প্রত্যয়িত বা অ্যাটেস্টেড’ এই শব্দটি ও পূর্ণ স্বাক্ষরের তলায়
  • আপিল, পোস্টাল রসিদ ও এডি রসিদের একটি করে সেট নিজের কাছে রেখে দেবেন
  • আপনি হাতে হাতেও দিতে পারেন, তবে রেজিস্টার্ড এডি/স্পীড পোস্ট ডাকে পাঠানোই বাঞ্ছনীয় ৷ ক্যুরিয়ার এড়িয়ে চলা উচিত
  • এফএএ কে প্রথম আপিল প্রাপ্তির  30 দিনের মধ্যে আপিলের উপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ তিনি আরো 15  দিন নিতে পারেন(মোট 45 দিন), অবশ্য যদি তিনি লিখিত ভাবে বিলম্বের কারণ জানান
  • প্রথম উত্তরবিচার অধিকারী একটি "মৌখিক" আদেশ বা একটি লিখিত আদেশ দিতে পারেন
প্রশ্ন: আরটিআইএর অধীনে দ্বিতীয় আপিলের আবেদন কীভাবে লিখতে হয়?
উত্তর:
  • আপনার আপিলের ফর্মটি(নিচে দেওয়া হয়েছে), সূচী ও অগ্রগতির সময়ানুসারে পূরণ করুন৷
  • যদি আপিল দাখিল করেন তবে ‘অভিযোগ/অভিযোগকারী’ শব্দগুলি কেটে দিন৷
  • যদি অভিযোগ দায়ের করা হয়, তা হলে “দ্বিতীয় আপিল/আপিলকারী”শব্দগুলি কেটে দিন৷ ডবল স্পেসে টাইপ করান ৷
এগুলির একটি করে ফটোকপি জোগাড় করুন:
  • আরটিআই  এর অধীনে আদি আবেদনপত্র ও তার সংলগ্নিকাগুলি
  • প্রথম আপিল ও তার সংলগ্ন দস্তাবেজগুলি
  • 10 টাকা ফাইলিং ফী ও অন্যান্য দেয় অর্থ মেটানোর জন্য ব্যবহৃত ব্যাঙ্ক ডিম্যাণ্ড ড্র্যাফট/পে স্লিপ/পোস্টাল অর্ডার/নগদ রসিদ
  • কোনো অর্থমূল্য থাকলে সিপিআইও-র কাছ থেকে তার দাবিপত্রের নকল
  • আদি আবেদনপত্র ও প্রথম আপিল ডাকে পাঠানোর প্রমাণ
  • মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক ও প্রথম উত্তরবিচার অধিকারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত পোস্টাল এডি স্লিপ/ অফিসিয়াল প্রাপ্তিস্বীকার
  • মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক ও প্রথম উত্তরবিচার অধিকারীর কাছ থেকে পাওয়া রায়, যদি পাওয়া গিয়ে থাকে
  • সব কাগজপত্র সূচী অনুযায়ী সাজান ও তারপরে সব কাগজের ডানদিকে উপরের কোণে ক্রমানুযায়ী নম্বর বসান৷ এটি হল দ্বিতীয় আপিল/অভিযোগের একটি আদি সেট
  • ফটোকপি করে উপরের মত আরো চারটি সেট তৈরি করুন
  • আপিল, সূচীপত্র ও সময়ানুসারী সারণীর প্রতি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করুন[পাঁচটি সেটই]
  • “প্রত্যয়িত” শব্দটির তলায় সই করে সব কটি ফটোকপি স্ব-প্রত্যয়িত করুন”
  • স্পীড/রেজিস্টার্ড/ইউপিসি-র মাধ্যমে মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক ও প্রথম উত্তরবিচার অধিকারীর প্রত্যেককে একটি করে সেট পাঠান এবং সূচীপত্র ও সময়ানুসারী সারণীতে বিশদ বিবরণ লেখার পরে আদি, অতিরিক্ত ও আপনার কপিতে দ্বিতীয় আপিল/অভিযোগ ডাকে ফেলার প্রমাণের ফটোকপি সংলগ্ন করুন
  • নীচের ঠিকানায় আয়োগকে রেজিস্টার্ড ডাকের মাধ্যে আদি ও একটি অতিরিক্ত সেট পাঠান:
    নিয়ামক,
    কেল্ত্রীয় তথ্য আয়োগ
    দ্বিতীয় তল, অগাস্ট ক্রান্তি ভবন,
    ভিকাজি কামা প্লেস,
    নিউ দিল্লি 110066
  • ক্যুরিয়ার সার্ভিস এড়িয়ে চলুন
  • ডাকে ফেলার প্রমাণ ও মুখ্য তথ্য আয়োগ/মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক/প্রথম উত্তরবিচার অধিকারীরকাছ থেকে প্রাপ্ত দ্বিতীয় আপিল/অভিযোগ হাতে পাওয়ার এডি সমেত একটি সেট রেফারেন্সের জন্য আপনার রেকর্ডে রাখুন
  • যদি ডাকে ফেলার 15 দিনের মধ্যে পোস্টাল এডি বা মুখ্য তথ্য আয়োগের কাছ থেকে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র না পাওয়া যায় তাহলে,
  • আপনি মুখ্য তথ্য আয়োগকে তা খুঁজে বার করার অনুরোধ করে স্পীড পোস্টে কেবল একটি দ্বিতীয় আপিল/অভিযোগের কপি [সংলগ্নিকা ছাড়া] পাঠাতে পারেন৷ রেজিস্টার্ড পোস্টের রসিদের ফটোকপিও মুখ্য তথ্য আয়োগকে পাঠানো যেতে পারে
  • আরো ভালো ফলের জন্য প্রথম বা দ্বিতীয় আপিল দাখিল করার সময় আপনি স্থানীয় এনজিও/ আরটিআই কর্মীর সাহায্য নিতে পারেন৷ সাধারণতঃ এর জন্য কোনো অর্থ নেওয়া হয় না
প্রশ্নতথ্য জানার অধিকার আইনে কারা তথ্য পেতে পারেন?
উত্তর:
  •  এই আরটিআই এর অধীনে ভারতবর্ষের যে কোনো নাগরিক তথ্য পেতে পারেন৷
  • এই আইন ভারতবর্ষের সর্বত্র ব্যাপ্ত, কেবল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ছাড়া৷
  • ওসিআই (ওভারসীজ সিটিজেনস অব ইনডিয়া বা বিদেশস্থিত ভারতীয় নাগরিক) এবং পিআইও (পারসনস অব ইনডিয়ান ওরিজিন বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি) কার্ডধারকরাও এই আইনের আওতায় তথ্য পেতে পারেন৷
  • যেসব নাগরিক, ওসিআই ও পিআইও ভারতের বাইরে বাস করছেন, তাঁরা স্থানীয় ভারতীয রাষ্ট্রদূতাবাস / বাণিজ্যদূতাবাস / উচ্চ আয়োগে আরটিআই  আবেদনপত্রটি জমা করতে পারেন যারা আবেদনকারীকে স্থানীয় মূদ্রায় দেয় অর্থের পরিমাণ ও অর্থদানের পদ্ধতি জানিয়ে দেবেন৷
প্রশ্নআরটিআই আবেদনপত্র কীভাবে জমা দিতে হবে?
উত্তর:
যাতে নিশ্চিত করা যায় যে আপনার আরটিআই  আবেদনপত্রটি জন তথ্য আধিকারিক দ্বারা গৃহীত হয়েছে, এবং আপনাকে জমা দেওয়ার প্রমাণ পেতে সক্ষম করা যায়৷ আরটিআই  আবেদনপত্র জমা দেবার পরীক্ষিত পদ্ধতিগুলি নিচে দেওয়া হয়েছে:
  • ব্যক্তিগতভাবে,হাতে হাতে: অনুগ্রহ করে নিশ্চিত হয়ে নিন যেন আবেদনপত্রের নকল ও অর্থ মেটানোর প্রমাণ হয় জন তথ্য আধিকারিক বা অভ্যন্তরীণ বিভাগ দ্বারা যথাযথভাবে স্ট্যাম্প করে, স্বাক্ষর করে ও তারিখ দিয়ে আপনাকে দেওয়া হয়
  • রেজিস্টার্ড পোস্ট অ্যাকনলেজমেণ্ট ডিউ (এডি): ডাক বিভাগ আপনার কাছে এডি কার্ডটি ফিরিয়ে দেওয়ার পর সেটি  জমা দেওয়ার প্রমাণরূপে কাজ করবে৷ যদি এডি কার্ডটি যথাযথ স্ট্যাম্প, স্বাক্ষর ও প্রাপ্তির তারিখ সহ ফেরত না আসে, তাহলে কার্ডটি পূর্ণ করার জন্য প্রেরক ডাকঘরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
  • স্পীড পোস্ট (একটি ডাক বিভাগীয় পরিষেবা): স্পীড পোস্টে আবেদনপত্রটি পাঠানো হলেhttp://www.indiapost.gov.in/Speednew/track.aspx তে তার উপরে নজর রাখুন ও বিলি স্থিতির একটি প্রিণ্টআউট আপনার কাছে সযত্নে রাখুন৷
  • সাধারণ ডাক, বেসরকারি ক্যুরিয়ার সংস্থা, ইত্যাদি ব্যবহারকরবেন না যেহেতু এরা আপনাকে বিলি করার কোনো স্বীকৃত প্রমাণ দেবে না৷
পশ্চিম বঙ্গ
1. ডাকের মাধ্যমে: অনুগ্রহ করে জন অধিকারীকে প্রদেয় 10 টাকার ডিম্যাণ্ড ড্র্যাফ্ট/ব্যাংকার্স চেক বা মানি অর্ডার পাঠান অথবা 10 টাকার আদালত মাশুল টিকিট লাগান ও আপনার আবেদনপত্রটি পিআইওতে পাঠিয়ে দিন৷
2. ব্যক্তিগত ভাবে: আপনি পিআইওর দফতরে যেতে পারেন(বা কাউকে পাঠাতে পারেন) এবং আপনার আবেদনপত্রটি নিজেই জমা করতে পারেন ও তাঁর অফিসে নগদ টাকায় ফি মেটাতে পারেন৷ 

No comments:

Post a Comment